ডায়েটিশিয়ান ও জেনেটিক হোমিওপ্যাথ- ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন
বিএসসি (অনার্স)-কেমিস্ট্রি; এমএসসি (খাদ্য ও পুষ্টি) ইবি;
ডিএইচএমএস (বিএইচবি), ঢাকা;
ডিএইচপিএম (কলকাতা, ভারত)
এমএসসি– বায়োটেকনোলজি এণ্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি) ইবি;
➤✍ আবিষ্কারক ও লেখক – জেনেটিক হোমিওপ্যাথি
আর্থসামাজিক উন্নয়নে জেনেটিক হোমিওপ্যাথি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরা হল:
১। ব্যক্তিগতকৃত স্বাস্থ্যসেবা: জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের মাধ্যমে মানুষের জীবনের মান উন্নত করে।
প্রকৃত স্বাস্থ্য হচ্ছে শারীরিক, মানসিক, সামাজিকভাবে ভালো থাকা শুধুমাত্র কথিত রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতিই নয়।– বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ১৯৪৮ সাল
২। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: জেনেটিক হোমিওপ্যাথি ব্যক্তির যাবতীয় স্বাস্থ্য সমস্যার নিরাময়ে কার্যকরী। দীর্ঘমেয়াদে ও স্থায়ীভাবে সমাজের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক। স্বাস্থ্যকর জনগোষ্ঠী মানে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে আর্থসামাজিক উন্নয়ন।
৩। মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: জেনেটিক হোমিওপ্যাথি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় দ্রুততম ও স্থায়ী সমাধান। মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হলে কর্মক্ষমতা ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়, যা আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।
৪। স্বাস্থ্যের স্থায়িত্ব: এই চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর স্বাস্থ্যের স্থায়িত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা নিশ্চিত করতে কাজ করে। এটি রোগের মূল কারণগুলি (জেনেটিক মিউটেশনের) শনাক্ত করে এবং তার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা প্রদান করে, যা রোগের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সাহায্য করে।
৫। রোগ প্রতিরোধ এবং ব্যবস্থাপনা: জেনেটিক তথ্যের ভিত্তিতে চিকিৎসা করে পূর্বাভাস এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া উদ্দেশ্য। এটি দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যসেবার খরচ কমাতে সাহায্য করে, যা সমাজের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়। যেমনঃ বিভিন্ন অটোইমিউন প্রতিরোধ করতে পারি। একজন হয়ত ডায়াবেটিস হবে সেটা পূর্বেই প্রতিরোধ করতে পারি। অথবা ডায়াবেটিস সুগার যেকোনোভাবে কমালেও ক্ষতি বা অগ্রগামিতা চলতেই থাকে। একপর্যায়ে কিডনী,লিভার,ব্রেইন বা চোখের সমস্যা শুরু হবেই, হয়ত এখন সুগার কমানোর মেডিসিনে নিয়ন্ত্রণে রাখছে জোর করে এবং মাসে ১৫০০-২০০০ টাকার ঔষধ লাগছে কিন্তু একপর্যায়ে লাখ টাকা খরচ করেও নিয়ন্ত্রণ হবে না। কারণ মিউটেট জিন বয়সের সাথে ক্রমাগত তার ভয়ংকররুপ প্রকাশ করতেই থাকবে।
৬। রোগ চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে দৌড়ানো কমবেঃ পূর্বে বয়স্করা পানের বাটা নিয়ে বসত আজ মানুষকে ঔষধের বাক্স নিয়ে বসতে হয়। ৪-৫ মাস পরপরই হাসপাতালে দৌড়াতে হয়। একবোঝা বিষাক্ত ড্রাগস শরীরে ঢুকে ১-২ সপ্তাহের মধ্যে মোটা অংকের কিছু টাকা ক্ষয় হয় এবং কর্মঘন্টা নষ্ট হয়। বিষাক্ত ড্রাগসের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া শেষ হতে কিছু মাস পর আবার একই অবস্থা। একপর্যায়ে শরীরের অবস্থা খারাপ হয় , Non communicable ডিজিজের ভয়াল থাবা প্রাকশ হয়। জেনেটিকস ততদিনে সাপোর্ট দিতে ব্যর্থ হচ্ছে মিউটেট জিনের প্রভাবে সম্পদ সন্তান শিক্ষা দীক্ষা শান্তি দেয় না। বরং সঞ্চিত অর্থ-সময় ক্ষয় করতে করতে নিঃস্ব হতে হয়? আজ মানুষ কত বড় ডাক্তার বা হাসপাতালের নিয়মিত কাস্টমার এটাই গল্প আর গর্বের বিষয়? অন্যেরা কেউ একটু ভাল থাকলে হিংসায় জ্বলে ,কিভাবে অন্যদের কাস্টমার বানানো যায় সেটা প্রলুব্ধ করে। জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ইমিউনিটি শক্তিশালী হওয়ায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে দৌড়ানো কমবে।
৭। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা: জেনেটিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য। এটি নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারে, যা আর্থসামাজিক বৈষম্য কমাতে সহায়ক।
৮। সমাজের সকল স্তরের জন্য স্বাস্থ্যসেবা: সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি নারী,পুরুষ ও শিশুসহ সমাজের সকল স্তরের যেকোনো বয়স ও রোগে চিকিৎসা সম্ভব। ফলে সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৯। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি: জেনেটিক হোমিওপ্যাথি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রোগীর সাথে আচরণ করে। রোগীর সাথে চিকিৎসকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করে।
১০। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিমুক্ত : জেনেটিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ, যা দীর্ঘমেয়াদে আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতায় সহায়ক।
১১। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব। সুস্থ এবং স্বাস্থ্য সচেতন জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে উৎপাদনশীল এবং সক্রিয় সমাজ গঠনে সহায়ক।
১২। কর্মসংস্থান সৃষ্টি: জেনেটিক হোমিওপ্যাথির প্রসারে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসক, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি নানা পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
১৩। সামাজিক অপরাধ কমে যাবেঃ সন্ত্রাসী,লোভী,অহংকারি,হিংসুক,রাগ,হতাশাগ্রস্থ,নেশাআসক্তিসহ সব খারাপগুণ অভ্যাসে পরিণত হতে mutate gene-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করে
১৪। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কাঙ্ক্ষিত মানবসম্পদ তৈরিঃ সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে প্রধান সম্পদ হচ্ছে কাঙ্খিত মানব সম্পদ । অসুস্থ অকর্মণ্য মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ নয় বরং বোঝা। জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে প্রকৃত সুস্থ্য ও কর্মঠ মানব সম্পদ গড়ে উঠবে। সেই সাথে চিকিৎসার জন্য বাইরের দেশে যেতে হবে না। সকল দূরারোগ্য রোগের প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা জেনেটিক হোমিওপ্যাথি। এমনকি এই জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধিতে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে পারি। বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন-www.genetichomeopathy.org
পরিশেষে, জেনেটিক হোমিওপ্যাথি রাষ্ট্রীয় অর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক একটি স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি, যা দীর্ঘমেয়াদে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক। সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে, এটি দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।এটি ব্যক্তি এবং সমাজের সার্বিক স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জীবনের মান উন্নত করতে সহায়ক। তবে, এর যথাযথ গবেষণা, মান নিয়ন্ত্রণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর সর্বোচ্চ সুফল নিশ্চিত করা সম্ভব।