Genetic Homeopathy মতে প্রচলিত সমস্ত চিকিৎসা পদ্ধতির গ্রহনীয় ও বর্জনীয় দিক
জেনেটিক হোমিওপ্যাথি একটি অত্যাধুনিক স্বতন্ত্র চিকিৎসাব্যবস্থা যা ইতিমধ্যেই সারা ফেলেছে । জেনেটিক হোমিওপ্যাথি কোনো চিকিতসাপদ্ধতিকেই সম্পূর্ণ গ্রহণীয় বা বর্জনীয় মনে করে না। বরং প্রত্যেক চিকিৎসা পদ্ধতিরই কিছু ভালো খারাপ দিক রয়েছে । নিচে আমরা এবিষয়ে অতিসংক্ষেপে কিছু পর্যালোচনা তুলে ধরার প্রয়াস পাব।
Homeopathy- তথা স্যার হ্যানিমান এবং তাঁর অনুসারী—
গ্রহনীয় দিক–
- ৬ষ্ঠ সংস্করণ বর্ণিত নবতর বা ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতি যেই নিয়মে জেনেটিক মেডিসিন প্রস্তুত করা হয়
- সিমিলিয়া থিউরি বা সাদৃশ্যবিধান (Homeopathy ও Isopathy)
- আদর্শ আরোগ্য বিষয়ক সংজ্ঞা (Ideal Cure)
- চিকিৎসকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
- তরলীকরণ (Dilution)- ও শক্তিকরণ (Potentization or Dynamization এর পার্থক্য ।
- রোগ বা লক্ষণ বা প্যাথলজি ভিত্তিক আরোগ্য চেষ্টা মূলত ক্ষতিকর এবং প্রতারণা।–
- আরোগ্য করতে হলে রোগের Fundamental cause খুঁজে বের করতে হবে আর এইটার আলোকে চিকিৎসা দিতে হবে- আর এটা মানুষে মানুষে প্রায় একই হবে। আর exciting ও Maintaing cause বিষয়ে শুধু পরামর্শ দিতে হবে- এগুলোর আলোকে ঔষধ দেওয়া অন্যায়।
- চিকিৎসকের ৩টি ভুল যা সবাই করে থাকেন।
যা অত্যন্ত ক্ষতিকর—যেহেতু Electromagnetic Energy সুতরাং এটা দীর্ঘবছর ধরে –
১) জেনেটিক মিউটেশন করে
২) পূর্বে থেকে ক্ষতিকর জিন Dominat/ Active যা পূর্বে হয় Silent ছিল ।
৩) রেকটিফাইড স্পিরিট বা এলকোহল ব্যবহার । এটা নিজেই জেনেটিক মিঊটেশনের কারণ। লিভার,হার্ট পেটের সমস্যার অন্যতম কারণ। [ হ্যানিমানের দোহাই দিয়ে যা করা হয় সেটা ক্ষমার অযোগ্য কারণ তিনি শেষের দিকে ৫০ সহস্রতমিকের কথা বলেছেন । যেখানে ইচ্ছা করলে রোগীকে প্রদানের এলকোহল ফ্রি করা যায়]
৪) প্লাসিবো হিসেবে এলকোহল বা ল্যাকটোজ খাওয়ানো। এটাও ভয়ংকর ক্ষতি যা শুধু এলকোহল বা ল্যাকটোজ খাওয়ানোর চেয়ে বহুগুণ বেশি। এখানে ঔষধ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে যা ইমিউন সিস্টেমকে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করছে অন্তত ২–৩ গুণ বেশি।
৫) ইচ্ছামত 30,200,1M,10M,CM,50M খাওয়ানো হচ্ছে । [স্বয়ং কেন্ট যেখানে ধারালো ছুরি পাগলের হাতে দেওয়ার চেয়েও ভয়ংকর বলেছেন ; হ্যানিমান অসাধ্য কৃত্রিম চিররোগ তৈরি হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।]
৬) হোমিও ঔষধের ৩০, ২০০ শক্তিতে বোসন কণার উপস্থিতি আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যা AYUSH ও গবেষণা বিভিন্ন জার্নালের মাধ্যমে জানিয়েছে। বলুন সাধারণ Sulphur, Zinc, Nacl অণু দিয়ে চিকিৎসা আর Radiation আকারে বা Nanoparticle আকারে প্রদান কি এক? সুবহানাআল্লাহ, হয়ত দ্রুত অনেক লক্ষণ কমিয়ে দিবে কিন্তু ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা জেনেটিকের উপরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সেটার জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করার জন্য কি আপনি প্রস্তুত?
৭) এরপরও মাদারটিংচার নামক কথিত ভেষজ ঔষধের লিটার লিটার ব্যবহার। যেখানে অন্তত ৫০ ভাগ বিশুদ্ধ রেকটিফাইড স্পিরিট। আস্তাগফিরুল্লাহ।
৮) রোগের নামে, R ,kent সিরিজ ব্যবহার যা প্রায় সকল হোমিও ডাক্তারই করে। এটার কথা আমি আর কি বলব ! এখনতো ফার্মাকপিয়াতে ঢুকিয়ে হোমিওপ্যাথিতে বৈধ করেও নিয়েছে। চেম্বার অচল এগুলো ছাড়া।
৯) বায়োকেমিক। এটা নিয়ে কি বলব ল্যাকটোজ খাওয়ানোর প্রতিযোগিতা।অর্গাননাযায়ী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নীতির বিরোধী কিন্তু এখন সাংবিধানিকভাবে পাস।
সর্বাপরি লক্ষণসাদৃশ্যে Electromagnetic Energy ব্যবহারে কোনো উপকার নেই তবে কষ্টের সাময়িক উপশম হলেও জেনেটিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অবশ্যই হবেই। অন্যান্য ড্রাগসের চেয়ে উপশমের গতি হয়ত বেশি কিন্তু ক্ষতি ভয়ানক। তাইতো হ্যানিমান নিজেও তাঁর জীবনের শেষ পর্যায়ে প্রথম দিকের থিউরি পরিব্ররতন করেছেন, তিনি গবেষণা করতে বলেছেন । শক্তির ব্যবহার বিজ্ঞানভিত্তিক হতে হবে যা কিছু ক্ষতিকর ত্যাগ করতে হবে। অর্গাননে লিখা আছে– “প্রজ্ঞাবান হতে সাহসী হও”।
Isopathy
Isopathy—এই সিস্টেমে তথা জেনার ও পাস্তুর প্রদত্ত নীতিতে জেনেটিক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।
প্রাচীনযুগের চিকিৎসা / Ancient medicine তথা ইসলামী, ইউনানী, আয়ুর্বেদ,চীনা ইত্যাদি–
–– গ্রহণীয় দিক
- ১) একুইট ডিজিজের ক্ষেত্রে Germ theory of disease ছাড়াও আরো কিছু মূল কারণ অবশ্যই আছে, যেই মূল কারণ ক্রনিক ডিজিজে প্রধান ভূমিকা রাখে। এটা শুধুমাত্র ভাববাদের দোহাই দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
- ২) নাস্তিক্যতাবাদ /দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ নয় বরং মানসিক-সামাজিক-আধ্যাত্মিক সুস্থ্যতার জন্য আল্লাহর উপর ভরসা,ভাগ্যে বিশ্বাস,পরকালের জবাবদিহিতার ভয় – এই ৩টির বিশেষ প্রয়োজন।
- ৩) সুস্থ ও অসুস্থতার পিছনে spritual/soul, vital principle আলাদাভাবে দুইটারই ভুমিকা রয়েছে।
- ৪) basic physiological principles, Temperament, bodily humours or bodily fluids,এগুলোকে আধুনিক ব্যাখ্যায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
- ৫) রোগ প্রতিরোধে ছয়টি পূর্বশর্ত (six physical, or external, factors, called asbab-e-sittah-zarooriah, which are essential in establishing a synchronized biological rhythm and thus living a balanced existence) ।
- কাপিং বা হিজামা বা রক্তক্ষণ সেটা রোগীর অবস্থা বিবেচনায় পরিক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে সাময়িক কষ্ট উপশমদায়ক হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিন্তু এটা জেনেটিকভাবে আরোগ্য করে না।
বর্জনীয়
- যা কিছু অবৈজ্ঞানিক ও কুসংস্কারমাত্র অথবা বর্তমান যুগের আলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় সেগুলো বর্জন করা হয়েছে।যেমন বিভিন্ন দেবদেবী কেন্দ্রিক কাল্পনিক ধারণা,লোকাচার,অনুমাননির্ভর ভেষজ ব্যবহার ।
Naturopathy
গ্রহণীয় দিক—
- আমরা সৃষ্টিগতভাবে পৃথিবীর মাটি,পানি,বায়ু দিয়ে তৈরি। এটা প্রাচীনকালের সব চিকিতসাতেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা প্রাকৃতিক প্রায় সবই আমাদের জন্য ভালো। তাই প্রকৃতির সাথে নিবিড় সম্পর্ক রক্ষা করা উচিৎ।
- সকাল সূর্য উঠার আগেই ঘুম থেকে উঠা ও কাজ শুরু করা উচিৎ।
- রাত ঘুমানোর জন্য রাত ১১ টার আগেই ঘুমাতে হবে– এটাই চিরায়িত নিয়ম ।
- প্রাকৃতিকভাবে ভেষজ খাবার হিসেবে ব্যবহার।
- মাটি ঘাস সবুজের মাঝে বিচরণের চেষ্টা ও হাওয়া বদল করে মানসিক প্রশান্তিদায়ক প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো
- যেকোনো খাবার প্রকৃতিতে আল্লাহ যেভাবে সৃষ্টি করেছেন বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার না করে চিরায়িত নিয়মে খাওয়া । অর্থাৎ Nature to mouth
- সূর্যালোক ও রাতের চাঁদতারার সাথে সময় কাটানো।
- বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে hot or cold or nomal water গ্রহণ ও ব্যবহার।
বর্জনীয় দিক—
- ঔষধের প্রতি agresive মনোভাব পরিহার । [কারণ আমাদের জেনেটিক মিউটেশন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হয়েছে, সেটাকে উপশম করা যায় কিন্তু শক্তিকৃত সাদৃশ্য ঔষধ ছাড়া আরোগ্য অসম্ভব। দূরারোগ্য রোগ প্রতিরোধে এবং শারীরিক–মানসিক–সামাজিক স্থায়ী সুস্থতার জন্য ঔষধ আবশ্যক।]
- অর্গানিক অর্গানিক আর Nature Nature করে আধুনিক প্রযুক্তির অতিরিক্ত বিষয়ে কঠোরতা/বিমুখতা। [চাহিদার প্রতি খেয়াল রেখে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যবহার আবশ্যক ]
- আবার Natural Natural দোহাই দিয়ে অবৈজ্ঞানিক বিষয় প্রমোট এবং আদিমতার নামে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার প্রতি অত্যধিক বিদ্বেষ।
পৃথিবীর সকল মানুষকেই বাধ্যতামূলক একই নিয়ম মানতেই হবে।[ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক সময়ই সম্ভব নয় ব্যতিক্রম থাকবেই। যেমন – একজন প্রহরী/দুরপাল্লার গাড়ি চালক যাকে রাত জেগে কাজ করতেই হয় তিনি ইচ্ছা করলেও রাত ১১টার মধ্যে ঘুমাতে পারবেন না। এরকম বহু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে।]
সার্জারি/Surgery
সার্জারি অবশ্যই দরকার –
- দুর্ঘটনা, বিষক্রিয়া এবং প্রাথমিক পর্যায়ে অস্ত্রোপচার যোগ্য যে কোনো রোগীতেও প্রয়োজনবোধে অসদৃশ চিকিৎসার সাহায্য অবশ্যই নিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে স্থূলমাত্রায় ঔষধ দিয়ে হৃৎপিন্ড, স্নায়ু ইত্যাদির কাজ বহাল রাখলে তবেই রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে।
- প্রাথমিক পর্যায়ে ঔষধে আরোগ্যযোগ্য অনেক রোগও ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচারোপযোগী হয়ে উঠতে পারে। শুধুমাত্র ঔষধ রোগীকে বাঁচাতে পারবে না। যেমন, পেপটিক আলসারে ছিদ্রালতা। আলসারে ছিদ্র সৃষ্টির পর অস্ত্রোপচার না করলে রোগীর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। ঠিক একই অবস্থা ঘটে অ্যাপেডিক্স ফেটে গেলে, কোনো যান্ত্রিক কারণে অস্ত্রের ধ্বংস দেখা দিলে এবং এই রকম আরও অনেক ক্ষেত্রে।
- যদি মায়ের পেলভিস শিশুর মাথার তুলনায় ছোট হয় (Cephalopelvic disproportion) এবং এ কারণে প্রসব না হয় সেখানে ঔষধে কিছুই না। তখন অস্ত্রোপচার অপরিহার্য।
- কোন গঠনগত কারণ না থাকলে বন্ধ্যাত্ব ঔষধে ভালভাবেই নিরাময় হয়। কিন্তু যদি ডিম্ববাহী নালী দুটিই বন্ধ থাকে বা জরায়ুর ফিক্সড রেট্রোভারশান বা পশ্চাদস্থিতি থাকে, তবে অস্ত্রোপচার অপরিহার্য। জরায়ুর স্থানচ্যুতিতে ঔষধের ভাল করে কিন্তু জরায়ু যদি সম্পূর্ণভাবে বাইরে বেরিয়ে আসে (Complete Procedentia) তবে অস্ত্রোপচার অপরিহার্য।
- পিত্ত বা বৃক্কের পাথুরিতে অনেক ক্ষেত্রেই শুধু ঔষধে রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করে। কিন্তু যদি পাথরগুলি খুব বড় আকারের হয়, অথবা পিত্তথলি নিষ্ক্রিয় (Non- Functionig gall Bladder) থাকে তবে ঔষধে আরোগ্য হওয়া বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে অসম্ভব।
- এখানে একটা কথা মনে রাখা একান্ত দরকার। কোনটা আরোগ্যযোগ্য আর কোনটা নয় এটা সঠিকভাবে বলা এক প্রকার অসম্ভব । কারণ আজ যে রোগী আরোগ্য সম্ভাবনাহীন বলে মনে হচ্ছে কিছুদিন পরে হয়ত সে সেই দশা অতিক্রম করে আরোগ্যযোগ্য অবস্থায় আসতে পারে। বাস্তব অভিজ্ঞতায় এমন অনেক রোগী দেখেছি। যেখানে প্র্যাকটিশ অব মেডিসিন ও প্যাথলজির জ্ঞানবুদ্ধিমত রোগীকে আরোগ্য সম্ভাবনাহীন বলেই দৃঢ়ভাবে মত ব্যক্ত করেছি কিন্তু কিছুদিন পরে দেখেছি আমারই হাতে সেই রোগী ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করছে। কাজেই আপতদৃষ্টিতে আরোগ্যের সম্ভাবনা নেই মনে হলেই আরোগ্যের আশা ছেড়ে দিয়ে শুধু উপশম দেবার চেষ্টা করা উচিত নয়।
- তাই অনুরোধ করবো, অন্য চিকিৎসাসাস্ত্রে আরোগ্য সম্ভাবনাহীন বলে ঘোষিত হয়েছে বলেই কোনো রোগীর আরোগ্যের আশা একেবারে ত্যাগ না করে বরং ঔষধ ব্যবহার করে ঐসব আরোগ্য সম্ভাবনাহীন রোগীদের আরোগ্যযোগ্য অবস্থায় এনে আরোগ্য করতে পারেন কি না সেই চেষ্টা করে দেখুন। সীমাবদ্ধতার তালিকা দীর্ঘতর না করে ক্ষুদ্রতর করার চেষ্টায় ব্রতী হোন।
Allopathy/Nanomedicine
সব সময়ই ড্রাগস বিরোধী, কারণ উপকারী নয়।এলোপ্যাথিক ঔষধ ইমারজেন্সি প্রয়োজনে অত্যন্ত স্বল্পমাত্রায় অর্থাৎ প্রচলিত মাত্রার ৪ভাগের ১ভাগ ১-২ বার দেওয়া যেতে পারে [কিন্তু মনে রাখতে হবে শরীর নিজেই ওগুলো প্রয়োজনে তৈরি করতে পারে]। সেটা রোগীর অবস্থানুযায়ী যেমন- রোগী হয়ত কোন ঔষধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করে সুতরাং মূহুর্তেই বন্ধ করা উচিৎ নয় বরং আস্তে আস্তে মাত্রা কমিয়ে বন্ধ করতে হবে। উদাহরণস্বরুপ -যেখানে দীর্ঘদিন সুগারের ঔষধ খেয়ে এমন অবস্থা ইন্সুলিন তৈরি করার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছে। এলোপ্যাথিক/ আধুনিক রাসায়নিক ঔষধ বা ড্রাগস যেহেতু সারা শরীরে যায় তাই অনেক ক্ষতিকর। আমাদের শরীর কোনো কাঁচের তৈরি টেস্টটিউব/পাত্র নয় বরং ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষের সমষ্টি।
আমরা বরং ঘরোয়াভাবে প্রস্তুত প্রাকৃতিক ভেষজসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উৎসাহিত করি। মানে আবার এটাও নয় যে অনেকগুলো মিশিয়ে ইউনানী হারবাল কবিরাজি আকারে বিভিন্ন ফর্মুলায় প্রিজারভেটিভ দিয়ে তৈরি।
[যেকোনো ঔষধ প্রথমে হজম হয় যেমন খবার হজম হয়। এরপর রক্তের সাথে মিশে লিভারে যায় সেখান থেকে সারাশরীরে চলে যায়। এরপর কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রের সাথে বের হয়। সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের মস্তিষ্কে এজন্য মস্তিষ্কের কোষও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিশেষত হাইপোথেলামাসের প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ্য করলে সহজেই বুঝব যেমন আমাদের আবেগ বিশেষত রাগ, আনন্দ, হাসি, বিরক্তি তথা মেজাজের পরিবর্তন। সাথে লিভারে প্রভাব পড়ে বলেই ক্লান্তি, দুর্বলতা,ঘুমে সমস্যা। পেটে সমস্যা বলেই এসিডিটি, পায়খানার সমস্যা..। আর কিডনির সংকেত পিপাসার পরিবর্তনসহ অন্যান্য লক্ষণ]
ন্যানোমেডিসিন ব্যবহারে অনেক ক্ষতি রয়েছে অলরেডি গবেষকবৃন্দ বুঝতে পারছে কিন্তু যা ধারণা ও চিন্তা করা হচ্ছে সমস্যা সেটার চেয়ে অনেক গভীরে কারণ ইতিমধ্যে নানোটেকনোলজি ব্যবহারে প্রস্তুত ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুতগতিতে স্বল্প সময়ে ক্লাসিক্যাল মেথডের বাইরে গিয়ে আমরা ন্যানোটেকনোলজির মাধ্যমে ভ্যাক্সিন দিয়ে মহামারি প্রতিরোধে এগিয়েছি আরেক ধাপ বেশি যেখানে ক্লাসিক্যাল মেথডে হয়ত ২-৪ বছর লাগত কিন্তু আমরা মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যেই সম্ভব করতে পারছি । কিন্তু ন্যানো প্রযুক্তি Non Communical disease মহামারি আকারে প্রকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ।
ইতিমধ্যে কৃত্রিম হরমোন বিশেষত স্টেরয়েড,এন্টিবায়োটিক,ভ্যাক্সিন ব্যবহারে – কিডনি,হার্ট, লিভার ডিজিজ সহ অটোইমিউন ডিজিজ ভয়ংকররুপ ধারণ করছে প্রতিটি পরিবারে। আগামী কয়েক দশকে ক্যান্সার,ডায়াবেটিক মহামারি হিসেবে পরিগণিত হবে। ইতিমধ্যে যুবক-যুবতীদের অল্পবয়সেই জীবন যৌবন শেষ , অকালে বার্ধ্যক্যের রোগগুলো কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
জিন থেরাপি (Gene therapy) যার পিছনে শত শত বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে – যেখানে একটি রোগে ৩০-৪০ লক্ষ ডলার বা ৩০-৪০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। মাত্র কয়েকটি রোগে সামান্য উন্নতি করলেও ট্রায়ালেই বারবার পিছনে যেতে হচ্ছে ক্ষতির পরিমাণ দেখে। ল্যাবেটরীতে জিন ইডিটিং করে সেটা মানব শরীরে প্রবেশে কয়েকটি ঝুঁকি ১) ইমিউনিটির ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া। ২) ইডিটিংয়ের ফলে কৃত্রিম জিন সুনিশ্চিত কি কি প্রতিক্রিয়া করবে, তা হয়ত আমাদের কল্পনার চেয়েও বেশি ৩) জম্বি টাইপের গুণ প্রকাশের ব্যাপক সম্ভবনা। কিন্তু এরপরও ব্যবসায়ীরা ডলার ব্যয় করছে ডলারের আসায়!