Genetic Homeopathy মতে প্রচলিত সমস্ত চিকিৎসা পদ্ধতির গ্রহনীয় ও বর্জনীয় দিক

জেনেটিক হোমিওপ্যাথি একটি অত্যাধুনিক স্বতন্ত্র চিকিৎসাব্যবস্থা যা ইতিমধ্যেই সারা ফেলেছে । জেনেটিক হোমিওপ্যাথি কোনো চিকিতসাপদ্ধতিকেই সম্পূর্ণ গ্রহণীয় বা বর্জনীয় মনে করে না। বরং প্রত্যেক চিকিৎসা পদ্ধতিরই কিছু ভালো খারাপ দিক রয়েছে । নিচে আমরা এবিষয়ে অতিসংক্ষেপে কিছু পর্যালোচনা তুলে ধরার প্রয়াস পাব।

Homeopathy- তথা স্যার হ্যানিমান এবং তাঁর অনুসারী

গ্রহনীয় দিক

  1. ৬ষ্ঠ সংস্করণ বর্ণিত নবতর বা ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতি যেই নিয়মে জেনেটিক মেডিসিন প্রস্তুত করা হয়
  2. সিমিলিয়া থিউরি বা সাদৃশ্যবিধান (Homeopathy Isopathy)
  3. আদর্শ আরোগ্য বিষয়ক সংজ্ঞা (Ideal Cure)
  4. চিকিৎসকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
  5. তরলীকরণ (Dilution)- ও শক্তিকরণ (Potentization or Dynamization এর পার্থক্য ।
  6. রোগ বা লক্ষণ বা প্যাথলজি ভিত্তিক আরোগ্য চেষ্টা মূলত ক্ষতিকর এবং প্রতারণা।–
  7. আরোগ্য করতে হলে রোগের Fundamental cause খুঁজে বের করতে হবে আর এইটার আলোকে চিকিৎসা দিতে হবে- আর এটা মানুষে মানুষে প্রায় একই হবে। আর exciting ও Maintaing cause বিষয়ে শুধু পরামর্শ দিতে হবে- এগুলোর আলোকে ঔষধ দেওয়া অন্যায়।
  8. চিকিৎসকের ৩টি ভুল যা সবাই করে থাকেন।

যা অত্যন্ত ক্ষতিকরযেহেতু Electromagnetic Energy সুতরাং এটা দীর্ঘবছর ধরে

) জেনেটিক মিউটেশন করে

) পূর্বে থেকে ক্ষতিকর জিন Dominat/ Active  যা পূর্বে হয় Silent ছিল ।

) রেকটিফাইড স্পিরিট বা এলকোহল ব্যবহার । এটা নিজেই জেনেটিক মিঊটেশনের কারণ। লিভার,হার্ট পেটের সমস্যার অন্যতম কারণ। [ হ্যানিমানের দোহাই দিয়ে যা করা হয় সেটা ক্ষমার অযোগ্য কারণ তিনি শেষের দিকে ৫০ সহস্রতমিকের কথা বলেছেন । যেখানে ইচ্ছা করলে রোগীকে প্রদানের এলকোহল ফ্রি করা যায়]

) প্লাসিবো হিসেবে এলকোহল বা ল্যাকটোজ খাওয়ানো। এটাও ভয়ংকর ক্ষতি যা শুধু এলকোহল বা ল্যাকটোজ খাওয়ানোর চেয়ে বহুগুণ বেশি। এখানে ঔষধ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে যা ইমিউন সিস্টেমকে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করছে অন্তত ২৩ গুণ বেশি।

) ইচ্ছামত 30,200,1M,10M,CM,50M খাওয়ানো হচ্ছে । [স্বয়ং কেন্ট যেখানে ধারালো ছুরি পাগলের হাতে দেওয়ার চেয়েও ভয়ংকর বলেছেন ; হ্যানিমান অসাধ্য কৃত্রিম চিররোগ তৈরি হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।]

) হোমিও ঔষধের ৩০, ২০০ শক্তিতে বোসন কণার উপস্থিতি আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যা AYUSH ও গবেষণা বিভিন্ন জার্নালের মাধ্যমে জানিয়েছে। বলুন সাধারণ Sulphur, Zinc, Nacl অণু দিয়ে চিকিৎসা আর Radiation আকারে বা Nanoparticle আকারে প্রদান কি এক? সুবহানাআল্লাহ, হয়ত দ্রুত অনেক লক্ষণ কমিয়ে দিবে কিন্তু ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা জেনেটিকের উপরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সেটার জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করার জন্য কি আপনি প্রস্তুত?

) এরপরও মাদারটিংচার নামক কথিত ভেষজ ঔষধের লিটার লিটার ব্যবহার। যেখানে অন্তত ৫০ ভাগ বিশুদ্ধ রেকটিফাইড স্পিরিট। আস্তাগফিরুল্লাহ।

) রোগের নামে, R ,kent সিরিজ ব্যবহার যা প্রায় সকল হোমিও ডাক্তারই করে। এটার কথা আমি আর কি বলব ! এখনতো ফার্মাকপিয়াতে ঢুকিয়ে হোমিওপ্যাথিতে বৈধ করেও নিয়েছে। চেম্বার অচল এগুলো ছাড়া।

) বায়োকেমিক। এটা নিয়ে কি বলব ল্যাকটোজ খাওয়ানোর প্রতিযোগিতা।অর্গাননাযায়ী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নীতির বিরোধী কিন্তু এখন সাংবিধানিকভাবে পাস।

সর্বাপরি লক্ষণসাদৃশ্যে Electromagnetic Energy ব্যবহারে কোনো উপকার নেই তবে কষ্টের সাময়িক উপশম হলেও জেনেটিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অবশ্যই হবেই। অন্যান্য ড্রাগসের চেয়ে উপশমের গতি হয়ত বেশি কিন্তু ক্ষতি ভয়ানক। তাইতো হ্যানিমান নিজেও তাঁর জীবনের শেষ পর্যায়ে প্রথম দিকের থিউরি পরিব্ররতন করেছেন, তিনি গবেষণা করতে বলেছেন । শক্তির ব্যবহার বিজ্ঞানভিত্তিক হতে হবে যা কিছু ক্ষতিকর ত্যাগ করতে হবে। অর্গাননে লিখা আছে–  “প্রজ্ঞাবান হতে সাহসী হও

 

Isopathy

Isopathy—এই সিস্টেমে তথা জেনার ও পাস্তুর প্রদত্ত নীতিতে জেনেটিক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।

প্রাচীনযুগের চিকিৎসা / Ancient medicine তথা ইসলামী, ইউনানী, আয়ুর্বেদ,চীনা ইত্যাদি–

 –– গ্রহণীয় দিক

বর্জনীয়

 

Naturopathy

গ্রহণীয় দিক—

বর্জনীয় দিক—

পৃথিবীর সকল মানুষকেই বাধ্যতামূলক একই নিয়ম মানতেই হবে।[ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক সময়ই সম্ভব নয় ব্যতিক্রম থাকবেই। যেমন একজন প্রহরী/দুরপাল্লার গাড়ি চালক যাকে রাত জেগে কাজ করতেই হয় তিনি ইচ্ছা করলেও রাত ১১টার মধ্যে ঘুমাতে পারবেন না। এরকম বহু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে।]

 

সার্জারি/Surgery

সার্জারি অবশ্যই দরকার –

 

Allopathy/Nanomedicine

সব সময়ই ড্রাগস বিরোধী, কারণ উপকারী নয়।এলোপ্যাথিক ঔষধ ইমারজেন্সি প্রয়োজনে অত্যন্ত স্বল্পমাত্রায় অর্থাৎ প্রচলিত মাত্রার ৪ভাগের ১ভাগ ১-২ বার দেওয়া যেতে পারে [কিন্তু মনে রাখতে হবে শরীর নিজেই ওগুলো প্রয়োজনে তৈরি করতে পারে]। সেটা রোগীর অবস্থানুযায়ী যেমন- রোগী হয়ত কোন ঔষধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করে সুতরাং মূহুর্তেই বন্ধ করা উচিৎ নয় বরং আস্তে আস্তে মাত্রা কমিয়ে বন্ধ করতে হবে। উদাহরণস্বরুপ -যেখানে দীর্ঘদিন সুগারের ঔষধ খেয়ে এমন অবস্থা ইন্সুলিন তৈরি করার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছে। এলোপ্যাথিক/ আধুনিক রাসায়নিক ঔষধ বা ড্রাগস যেহেতু সারা শরীরে যায় তাই অনেক ক্ষতিকর। আমাদের শরীর কোনো কাঁচের তৈরি টেস্টটিউব/পাত্র নয় বরং ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষের সমষ্টি।

আমরা বরং ঘরোয়াভাবে প্রস্তুত প্রাকৃতিক ভেষজসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উৎসাহিত করি। মানে আবার এটাও নয় যে অনেকগুলো মিশিয়ে ইউনানী হারবাল কবিরাজি আকারে বিভিন্ন ফর্মুলায় প্রিজারভেটিভ দিয়ে তৈরি।

[যেকোনো ঔষধ প্রথমে হজম হয় যেমন খবার হজম হয়। এরপর রক্তের সাথে মিশে লিভারে যায় সেখান থেকে সারাশরীরে চলে যায়। এরপর কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রের সাথে বের হয়। সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের মস্তিষ্কে এজন্য মস্তিষ্কের কোষও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিশেষত হাইপোথেলামাসের প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ্য করলে সহজেই বুঝব যেমন আমাদের আবেগ বিশেষত রাগ, আনন্দ, হাসি, বিরক্তি তথা মেজাজের পরিবর্তন। সাথে লিভারে প্রভাব পড়ে বলেই ক্লান্তি, দুর্বলতা,ঘুমে সমস্যা। পেটে সমস্যা বলেই এসিডিটি, পায়খানার সমস্যা..। আর কিডনির সংকেত পিপাসার পরিবর্তনসহ অন্যান্য লক্ষণ]

ন্যানোমেডিসিন ব্যবহারে অনেক ক্ষতি রয়েছে অলরেডি গবেষকবৃন্দ বুঝতে পারছে কিন্তু যা ধারণা ও চিন্তা করা হচ্ছে সমস্যা সেটার চেয়ে অনেক গভীরে কারণ ইতিমধ্যে নানোটেকনোলজি ব্যবহারে প্রস্তুত ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুতগতিতে স্বল্প সময়ে ক্লাসিক্যাল মেথডের বাইরে গিয়ে আমরা ন্যানোটেকনোলজির মাধ্যমে ভ্যাক্সিন দিয়ে মহামারি প্রতিরোধে এগিয়েছি আরেক ধাপ বেশি যেখানে ক্লাসিক্যাল মেথডে হয়ত ২-৪ বছর লাগত কিন্তু আমরা মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যেই সম্ভব করতে পারছি । কিন্তু ন্যানো প্রযুক্তি Non Communical disease মহামারি আকারে প্রকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ।

ইতিমধ্যে কৃত্রিম হরমোন বিশেষত স্টেরয়েড,এন্টিবায়োটিক,ভ্যাক্সিন ব্যবহারে – কিডনি,হার্ট, লিভার ডিজিজ সহ অটোইমিউন ডিজিজ ভয়ংকররুপ ধারণ করছে প্রতিটি পরিবারে। আগামী কয়েক দশকে ক্যান্সার,ডায়াবেটিক মহামারি হিসেবে পরিগণিত হবে। ইতিমধ্যে যুবক-যুবতীদের অল্পবয়সেই জীবন যৌবন শেষ , অকালে বার্ধ্যক্যের রোগগুলো কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।

জিন থেরাপি (Gene therapy) যার পিছনে শত শত বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে – যেখানে একটি রোগে ৩০-৪০ লক্ষ ডলার বা ৩০-৪০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। মাত্র কয়েকটি রোগে সামান্য উন্নতি করলেও ট্রায়ালেই বারবার পিছনে যেতে হচ্ছে ক্ষতির পরিমাণ দেখে। ল্যাবেটরীতে জিন ইডিটিং করে সেটা মানব শরীরে প্রবেশে কয়েকটি ঝুঁকি ১) ইমিউনিটির ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া। ২) ইডিটিংয়ের ফলে কৃত্রিম জিন সুনিশ্চিত কি কি প্রতিক্রিয়া করবে, তা হয়ত আমাদের কল্পনার চেয়েও বেশি ৩) জম্বি টাইপের গুণ প্রকাশের ব্যাপক সম্ভবনা। কিন্তু এরপরও ব্যবসায়ীরা ডলার ব্যয় করছে ডলারের আসায়!

 

 

 

Leave a Reply