*বাচ্চাদের
০ দেহের বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক ওজনকমে যায়।
০ ধীরে হাঁটে, ধীরে কথা বলে,চিন্তা শক্তির বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
- পেট মোটা হয় আর হাত, পা সরু হতে থাকে।
০ অবসন্নতা ও নিস্পৃহতা জন্মে। হাত, পা, মুখমণ্ডল ফুলে যায় এবং চামড়ায় ঘা হয়।
- চুল পাতলা হতে থাকে অথবা উঠে যায়, চুলের রং এবংউজ্জ্বলতা নষ্ট হয়।
০ চোখে শুষ্কতা আসে ফলে অন্ধত্ব জন্মে।
*যে কোন বয়সের লোকের
০ দুর্বলতা ও ক্লান্তি আনে।
০ ক্ষুধা কমায়।
- রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়।
০ মুখের কোণায় ঘা হয়।
০ জিহবার ওপরে ঘা হয় বা ব্যথা করে।
০ পা জ্বালাপোড়া কিংবা ঝিন ঝিন করে।
নিচের সমস্যাগুলোর কারণ ভিন্ন হলেও উপযুক্ত খাদ্য গ্রহণ না করার ফল
০ ডায়ারিয়া বা পাতলা পায়খানা
০ কানে ভোঁ ভোঁ করা
০ মাথা ব্যথা
০ দাঁতের মাড়ি লাল হওয়া এবং দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়া
০ নাক দিয়ে রক্ত পড়া
০ পাকস্থলীর গোলযোগ
০ চামড়া শুকনো হওয়া এবং ফাটতে শুরু করা
০ বাচ্চাদের খিঁচুনী অজ্ঞান হওয়া
০ বুক ধড়ফড় করা
০ বিষণ্ণতা এবং অন্যান্য স্নায়বিক বা মানসিক সমস্যা
- যকৃতের সিরোসিস
০ ঘন ঘন সংক্রমণ —– আমরা প্রতিনিয়ত যা খাই অধিকাংশ মানুষের এতেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পুরণ হওয়ার কথা কিন্তু মূল কারণ আমাদের শরির ” হয় খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি শোষণ করে কাজে লাগাতে পারে না । অথবা পুষ্টি উপাদানগুলো বিভিন্ন ভাবে বের হয়ে যায় রেচন প্রক্রিয়ায়। মূলত শরীর বিভিন্ন ডিজিজ ফ্যাক্টর দ্বারা আক্রান্ত থাকায় অপুষ্টি দেখা যায়।। এছাড়া খুব কম সংখ্যক মানুষ এখনো আছে যারা পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান দিতে পারে না। আর দীর্ঘদিন অপুষ্টিও আমাদের জেনেটিক মিউটেশনের কারণ।
[ তথ্যসূত্রঃ Genetic Homeopathy — ২য় অধ্যায় চিকিৎসকের যা জানা আবশ্যক -ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন]
ওষুধের সঠিক ব্যবহার এবং ওষুধ কম ব্যবহার করা
প্রতিরোধমূলক চিকিৎসার সব চাইতে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ অংগের একটি হচ্ছে জনগণকে ওষুধের সঠিক ব্যবহার ও ওষুধ কম ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া। কিছু কিছু আধুনিক ওষুধ খূবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবন রক্ষাকারী। কিন্তু বেশির ভাগ রোগের জন্যে কোন ওষুধ দরকার হয় না। বিশ্রাম,ভাল খাবার এবং পারিবারিক সেবাযত্ন ও চিকিৎসা পেলে শরীর নিজ থেকেই রোগ ধ্বংস করে। লোকের দরকার না থাকলেও আপনার কাছে ওষুধের জন্যে আসতে পারে। আপনি তাদের খুশী করার জন্যে হয়ত কিছু ওষুধ দেবেন। কিন্তু এমনটি করা হলে তারা যখন সেরে উঠবে তখন মনে করবে যে আপনার ওষুধই তাকে সারিয়ে তুলেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের শরীরই তাদের সারিয়ে তুলছে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ওপর নির্ভর করা শিক্ষা দেবার পরিবর্তে লোকদের সময় করে বুঝিয়ে বলুন কেন এগুলো ব্যবহার করা উচিত নয়। রোগ থেকে বাঁচার জন্যে লোকটি নিজে নিজে কি করতে পারে তা বুঝিয়ে বলুন।
এভাবে লোকটিকে আপনি বাইরের (ওষুধ) নির্ভরশীলতা থেকে বাঁচিয়ে আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করছেন। সেই সঙ্গে আপনি লোকটিকে রক্ষা করছেন। কারণ এমন কোন ওষুধ নেই যা ব্যবহারে কোন ঝুঁকি থাকে না। আবারও বলছি যে তিনটা সাধারণ অসুখের ব্যাপারে লোকেরা প্রায়ই ওষুধের জন্যে বলে সেগুলো হচ্ছে (১) সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি, (২) অল্প কাশি এবং ৩) ডায়ারিয়া-কিন্তু এগুলোর জন্যে কোন ওষুধ লাগে না।
(where there is no doctor-by David Werner – লেখাটি আমার প্রায় ৩০০ পৃষ্টার Genetic Homeopathy মূল বইয়ের ৪য় অধ্যায়ে চিকিত”সক/ স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা শিরোনামে থাকবে ইনশাল্লাহ)